ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতের সবজি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৮৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষীপুর শহরের অলি-গলিতে নজর কাড়ছে ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকান। ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ দোকানে মিলছে টাটকা সবজি। শহরের এমন ভ্রাম্যমাণ দোকান প্রায় ৫০টি। অল্প পূঁজির ব্যবসায়ীরা এভাবে বিক্রি করছেন স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শাক-সবজি। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের বিক্রি-বাট্টা। একদিকে টাটকা অন্যদিকে বাজারের দোকান থেকে কিছুটা কমদামে বিক্রি হওযায় ভোক্তারা ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে সবজি কেনেন। বিক্রি ভলো হওয়ায় বিক্রেতারাও খুশি। একেকজন দোকানির প্রতিমাসে আয় হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা। এদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন কৃষক। তারা নিজেরাই নিজদের ক্ষেত থেকে ফসল কেটে ভ্যানযোগে ফেরি করে বিক্রি করেন।
অন্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ভ্যানে করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে শাক-সবজি কিনে শহরের তোলেন। এতে তাদের পরিবহন খরচ বেঁচে যায়। এছাড়াও বিক্রি করতে বাজারের দোকান ভাড়া গুনতে হয় না। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছ থেকে বাকিতে সংগ্রহ করেন সবজি। বিক্রি করে টাকা দেন।
ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে টাটকা লকলকে সবজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা লক্ষীপুর সদর উপজেলার পিয়ারাপুর, ভবানীগঞ্জ, মিয়ারবেড়ি ও তোরাবগঞ্জ এলাকার কৃষকদের ক্ষেত থেকে সবজি সংগ্রহ করে শহরে আনেন। জেলা শহরের অলিগলি ও আবাসিক এলাকার বাসা-বাড়িতে নিয়ে বিক্রি করেন। যে কারণে সব বিক্রি হয়ে যায়, পুরনো শাক-সবজি থাকে না।
মিয়ারবেড়ি এলাকার কৃষক আবুল কাশেম জানান, ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছ সবজি বিক্রি করলে চাষি ও ব্যবসায়ী দু’জনেরই লাভ। পরিবহন খরচ লাগে না।
লক্ষীপুর পৌর সমসেরাবাদ এলাকার একজন গৃহিণীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, বাসার সামনে প্রতিদিন সবজির ভ্যান আসে। অল্প-অল্প করে প্রতিদিনই টাটকা সবজি কিনি। বাজারে যেতে হয় না।
সরকারি চাকরিজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, অফিস করে বাজারে যাওয়া সম্ভব হয় না। চলার পথে রিকশায় বসে সবজি কেনা যায়।
ভ্রাম্যমাণ সবজি ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, সবজি বিক্রি করে তার সংসার চলে। ছেলে-মেয়ের পড়া-লেখার খরচ জোগান। প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা বিক্রি হয়। মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভ্রাম্যমাণ দোকানে শীতের সবজি

আপডেট টাইম : ১২:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লক্ষীপুর শহরের অলি-গলিতে নজর কাড়ছে ভ্রাম্যমাণ সবজির দোকান। ভ্যানে ভ্রাম্যমাণ দোকানে মিলছে টাটকা সবজি। শহরের এমন ভ্রাম্যমাণ দোকান প্রায় ৫০টি। অল্প পূঁজির ব্যবসায়ীরা এভাবে বিক্রি করছেন স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত শাক-সবজি। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের বিক্রি-বাট্টা। একদিকে টাটকা অন্যদিকে বাজারের দোকান থেকে কিছুটা কমদামে বিক্রি হওযায় ভোক্তারা ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকেই স্বাচ্ছন্দ্যে সবজি কেনেন। বিক্রি ভলো হওয়ায় বিক্রেতারাও খুশি। একেকজন দোকানির প্রতিমাসে আয় হয় প্রায় ২৫ হাজার টাকা। এদের মধ্যে কেউ কেউ আছেন কৃষক। তারা নিজেরাই নিজদের ক্ষেত থেকে ফসল কেটে ভ্যানযোগে ফেরি করে বিক্রি করেন।
অন্য ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা নিজস্ব ভ্যানে করে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে শাক-সবজি কিনে শহরের তোলেন। এতে তাদের পরিবহন খরচ বেঁচে যায়। এছাড়াও বিক্রি করতে বাজারের দোকান ভাড়া গুনতে হয় না। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী কৃষকদের কাছ থেকে বাকিতে সংগ্রহ করেন সবজি। বিক্রি করে টাকা দেন।
ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে টাটকা লকলকে সবজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা লক্ষীপুর সদর উপজেলার পিয়ারাপুর, ভবানীগঞ্জ, মিয়ারবেড়ি ও তোরাবগঞ্জ এলাকার কৃষকদের ক্ষেত থেকে সবজি সংগ্রহ করে শহরে আনেন। জেলা শহরের অলিগলি ও আবাসিক এলাকার বাসা-বাড়িতে নিয়ে বিক্রি করেন। যে কারণে সব বিক্রি হয়ে যায়, পুরনো শাক-সবজি থাকে না।
মিয়ারবেড়ি এলাকার কৃষক আবুল কাশেম জানান, ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছ সবজি বিক্রি করলে চাষি ও ব্যবসায়ী দু’জনেরই লাভ। পরিবহন খরচ লাগে না।
লক্ষীপুর পৌর সমসেরাবাদ এলাকার একজন গৃহিণীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, বাসার সামনে প্রতিদিন সবজির ভ্যান আসে। অল্প-অল্প করে প্রতিদিনই টাটকা সবজি কিনি। বাজারে যেতে হয় না।
সরকারি চাকরিজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, অফিস করে বাজারে যাওয়া সম্ভব হয় না। চলার পথে রিকশায় বসে সবজি কেনা যায়।
ভ্রাম্যমাণ সবজি ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, সবজি বিক্রি করে তার সংসার চলে। ছেলে-মেয়ের পড়া-লেখার খরচ জোগান। প্রতিদিন ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা বিক্রি হয়। মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হয়।